300 টাকার মোবাইল ঘড়ি –
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় আমাদের সকলের সামনেই বিজ্ঞাপন চলে আসে।সেইসব বিজ্ঞাপনে দেওয়া থাকে 300 টাকার মোবাইল ঘড়ি। কিন্তু আমরা জানি না এই স্মার্ট ঘড়ি কেনা আমাদের জন্য ঠিক হবে কিনা। আজকে আমি আলোচনা করব 300 টাকার মোবাইল ঘড়ি নিয়ে।চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
300 টাকার মোবাইল ঘড়ি কেনা ঠিক হবে?
বন্ধুরা বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেট রয়েছে। সেসকল শপিং প্লাটফর্মে সকল প্রকার পণ্য পাওয়া যায়। আমরা যখন সে সকল শপিং প্লাটফর্মে কিনতে যাই বা ভিজিট করি। তখন আমাদের সামনে অনেক আকর্ষণীয় প্রোডাক্ট চলে আসে।সেই প্রোডাক্ট গুলোর মধ্যে একটি হল ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি।আবার আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময় নানা রকম বিজ্ঞাপন আসে।সেই সব বিজ্ঞাপনের মধ্যে বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনে দেখা যায় 300 টাকার মোবাইল ঘড়ি।
আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে এত কম টাকাতে তারা কিভাবে মোবাইল ঘড়ি দিচ্ছে।বন্ধুরা অনেক সময় ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি পাওয়া যায়। তবে ৩০০ টাকাতে মোবাইল ঘড়ি কেনা থেকে বিরত থাকা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন 300 টাকার মোবাইল ঘড়ি কেনা বিরত থাকা উচিত?
কেন 300 টাকার মোবাইল ঘড়ি কেনা বিরত থাকা উচিত?
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটা অলিতে গলিতে প্রতারণা চলতেছে।বাংলাদেশের সকল জনপ্রিয় শপিং প্ল্যাটফর্মে কিছু অসাধু প্রতারক ফাঁদ পেতে বসে রয়েছে।তারা কম টাকায় মোবাইল ঘড়ির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করতেছে।আবার অনেকে ফেসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার সহযোগিতা নিয়ে এড ক্যাম্পিং করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করতেছে।বন্ধুরা এই প্রতারণার পাশাপাশি কিছু মানুষ তাদের প্রোডাক্ট বেশি বিক্রির জন্য ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি বিক্রি করতেছে।তবে খুব সামান্য কিছু মানুষ ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি মার্কেটে সেল করতেছে।
বাকি যেগুলো রয়েছে সেগুলো সব প্রতারক।এখন বন্ধুরা আমরা কিভাবে প্রতারক মোবাইল ঘড়ি সেলার খুঁজে বের করবো।বন্ধুরা প্রতারক মোবাইল ঘড়ি সেলার খুঁজে বের করা অনেক মুশকিল।কারণ ইন্টারনেট হল অনেক বড়। ইন্টারনেটে হাজার হাজার সেলার রয়েছে।তাদের মধ্যে থেকে ভালো অরিজিনাল সেলার বের করা সম্ভব না।তাই বন্ধুরা আমাদের উচিত কম টাকায় বা তিনশো টাকার মোবাইল ঘড়ি কেনা থেকে বিরত থাকা।কারণ আমরা আসল অরিজিনাল মোবাইল ঘড়ি সেলারকে সঠিকভাবে খুঁজে বের করতে পারছি না।
কিভাবে ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি আসল সেলার বের করবেন?
আবার বন্ধুরা ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি কেনার পূর্বে অবশ্যই মোবাইল ঘড়ির রেটিং দেখে নেওয়া উচিত। যদি কোন ঘড়িতে ১৫ থেকে ২০ জন ভালো রিভিউ দেয় সে ক্ষেত্রে সেই ঘড়িটি নেওয়া উচিত।তবে বন্ধুরা বর্তমান সময়ে এমন নকল রিভিউ কেনা যায়।তাই আমাদের উচিত 100 থেকে দেড়শ ভালো রিভিউ সহ ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি কেনা। এই ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি অনেক সময় অনেক দামে ঘড়ি হয়ে থাকে।কোম্পানি অনেক সময় ডিসকাউন্ট এ সেল করে।
কোথায় 300 টাকার মোবাইল ঘড়ি পাওয়া যায়?
বন্ধুরা বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় শপিং প্ল্যাটফর্মে ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি পাওয়া যায়।তবে আপনারা বাংলাদেশের জনপ্রিয় শপিং প্ল্যাটফর্ম দারাজে খোঁজাখুঁজি করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা বিদেশি প্ল্যাটফর্ম আলি এক্সপ্রেস ও আলিবাবা সহ অন্যান্য শপিং প্ল্যাটফর্মে করতে পারার পাশাপাশি সহ সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে খোঁজাখুঁজি করতে পারেন।
পরিশেষে ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি
বন্ধুরা আপনারা যদি অরজিনাল ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি সেলার খুঁজে বের করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনারা অনায়াসে নিতে পারেন। কারণ কোম্পানি অনেক সময় ৮০ থেকে ৯০ পারসেন্ট ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে।এই জন্য অনেক কম টাকাতে মোবাইল ঘড়ি পাওয়া যায়।
বন্ধুরা আপনারা অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখেই মোবাইল ঘড়ি কেনার জন্য লাফাবেন না।কারণ ছোট বাচ্চাদের ঘড়ির দাম ৩০০ টাকা। তাহলে আপনারা কিভাবে এত কম টাকাতে মোবাইল ঘড়ি পাচ্ছেন।সেই বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।আপনারা ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি কেনা আগে অবশ্যই কাস্টমারের রিভিউ গুলা দেখে নেবেন।কারণ কাস্টমারের রিভিউ খারাপ হলে বুঝে নেবেন সেই সেলারটি প্রতারক।
বন্ধুরা বর্তমান সময়ে ৩০০ টাকায় মোবাইল ঘড়ি পাওয়া সম্ভব না।তবে অনেক সময় বিভিন্ন অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যায়।তবে এটা সব সময় পাওয়া যায় না।তাই ৩০০ টাকার মোবাইল ঘড়ি কেনার পূর্বে যাচাই-বাছাই করে নেবেন। আজকের আর্টিকেল এখানেই শেষ করছি।এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।